স্টাফ রিপোর্টার: যেকোনো মানুষকে কারাগারে নিলে হাতকড়া পরানো হয়। কিন্তু মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাতকড়া ছাড়াই সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।
সাধারণ মানুষ তার প্রতি এই সহানুভূতিকে জামাই আদর বলে আখ্যা দিচ্ছে।
আদালতে তোলার সময় অন্যসব আসামিকে হাতকড়া পড়ানো হলেও ওসি মোয়াজ্জেমের হাতে কেন হাতকড়া পরানো হল না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের অন্যায় অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
‘সে (ওসি মোয়াজ্জেম) কিন্তু (নুসরাতের) মামলাটা রিসিভ করেছে, মামলাটা রিসিভ করে প্রিন্সিপালকে অ্যারেস্ট করে অলরেডি চালান দিয়ে দিয়েছিল। এগুলো যে সারেন্ডার করে বললেই....। সে একটা বোকামি করেছে।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, কতগুলো নিয়মও তো আছে। সে যে অন্যায় করেছে সেই অন্যায়ের জন্য যতখানি প্রয়োজন আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।
মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ও সংস্থা সমূহের মধ্যে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির ২০ দিন পর রোববার মোয়াজ্জেম হোসেনকে হাইকোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
এরপর সোমবার দুপুরে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার ফেনীর সোনাগাজী থানার সাবেক ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে সাইবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর তাকে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নেয়া হয়।
এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//