শাহীন চৌধুরী: বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ চালিত যানবাহন চলাচলের সমন্বিত নীতিমালা প্রয়োজন। জ্বালানি হিসেবে তেলের চেয়ে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিনের দক্ষতা অনেক বেশী। রাতে বিদ্যুতের ব্যবহার কম- এ সময় যানবাহনগুলো বৈদ্যুতিক স্টেশনে চার্জ করতে পারে। প্রয়োজনে এখাতে বিদ্যুতের ট্যারিফ পুনঃবিবেচনার প্রস্তাব করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে “মহাসড়কের লাঈফ টাইম: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়” শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি এ সময় একটি পাওয়ার পয়েন্টে প্রেজেন্টেশনে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের মহাসড়কের অবস্থা তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্তরিকতা থাকলে অনেক সমস্যাই সমস্যা নয়। সমস্যা অন্যের উপর না চাপিয়ে সমাধান করতে চেষ্টা করলে মহাসড়কের দৃশ্য পাল্টে যাবে। লাইসেন্সিং পলিসি, হাইওয়ের গুনগতমান, ট্রাফিক সাইন ইত্যাদিতে আরো নজর দিতে হবে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কংক্রিটের রাস্তা অনেক স্থায়ী বহুবার বলা সত্ত্বেও কোন প্রস্তাব দেয়া হয় না। মাইন্ডসেট পরিবর্তন করে কাজ করলে এসব কাজে দৃশ্যমান সাফল্য পাওয়া যেতে পারে। তিনি বলেন, প্রকল্প নেয়ার ক্ষেত্রে সংখ্যার চেয়ে অর্থায়ন ও বাস্তবায়নের সক্ষমতা বিবেচনা করে নতুন প্রকল্প নিতে হবে। টোল সিস্টেমকে সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংক্রিয় করতে হবে। টোল আদায়ের নামে গাড়ি আটকে সময় নষ্ট ও জ্যাম তৈরি করা যাবে না।
উন্মুক্ত আলোচনায় অন্যান্যের মধ্যে বুয়েটের অধ্যাপক শাসমুল হক, নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন, লেখক ও কলামিষ্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ মহাসড়কের সমস্যার কারণ নিয়ে আলোচনা করেন। তাদের দৃষ্টিতে ওভার লোডিং, মহাসড়কে জলাবদ্ধতা, যানজট, প্রয়োজনীয় মেরামতের অভাব, দূর্নীতি প্রভৃতির জন্য মহাসড়কের লাইফ টাইম কমে যাচ্ছে।
সড়ক বিভাগের সচিব মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ একাব্বর হোসেন বক্তব্য রাখেন।
এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//