সদ্য সংবাদ :

হাসপাতালে রোগীর মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম

Published : Friday, 25 December, 2020 at 7:43 PM
জামালপুর প্রতিনিধি: রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় ডাক্তারের অবহেলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে রোগীর স্বজনের সাথে ডাক্তার ও ইন্টার্নি ডাক্তারদের মধ্যে তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে হাসপাতাল ভাঙচুর, হাতাহাতি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বিকাল ৩টায় জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। সংর্ঘষে ডা. চিরঞ্জিৎ, ডা. হাবিবুল্লাহ, কর্মচারী কিরন, রোগীর স্বজন শহিদুল্লাহ (৪০), জিহাদ (২০) ও সাইদুরসহ ১০ জন আহত হয়েছেন।

ডাক্তার আহতের খবরে ইন্টার্ন ডাক্তারদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। রোগীর স্বজনদের সাথে ইর্ন্টন ডাক্তাররা সংর্ঘষে জড়িয়ে পড়ে। দু’পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষে হাসপাতাল ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ সময় ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানসহ ৭ ইর্ন্টানি ডাক্তারকে আটক করে নিয়ে যায় সদর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় রোগীর স্বজন ও হাসপাতালের ডাক্তার কর্মচারীদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।


নিহত রোগীর ভাতিজা সাইদুর জানান, শহরের ইকবালপুর জামে মসজিদে আমার চাচি করিমন নেছা (৫৫) জুম্মার নামাজ পড়তে যায়। মসজিদের নির্মাণাধীন দ্বিতীয় তলায় দেয়াল ভেবে কাপড়ের পর্দায় হেলান দিতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। পরে জরুরি বিভাগে ফেলে রাখা হয় তাকে।

তিনি বলেন, সময়ক্ষেপণ করে কর্তব্যরত ডাক্তার চিরঞ্জিত ডক্টরস রুম থেকে বেড়িয়ে এসে রোগী দেখে মৃত ঘোষণা করেন। সময়মতো রোগী দেখা এবং অক্সিজেন দিলে আমার চাচি মারা যেত না। হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে ইন্টার্ন ডাক্তাররা আমার ওপর হামলা করে। আমাকে তারা মারধর করেছে। আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে।

হাসপাতালের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোগী মৃত্যুতে ডাক্তারের অবহেলার অভিযোগকে কেন্দ্র জকরে জরুরি বিভাগে রোগীর স্বজন ও ডাক্তার কর্মচারীদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক শুরু হয়। এক পর্যায়ে হাসপাতাল ভাঙচুর, হাতাহাতি ও মারপিটের ঘটনা ঘটে। এ সময় ডা. চিরঞ্জিত ইর্ন্টন ডাক্তার হাবিবুল্লাহ, কর্মচারী কিরন, রোগীর স্বজন শহিদুল্লাহ ও জিহাদ আহত হয়।

এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রোগীর স্বজন ও ইন্টার্নি ডাক্তাররা উপস্থিত হয়। দু'পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে দফায় দফায়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে হাসপাতাল ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। উত্তেজিত ইন্টার্ন ডাক্তাররা হামলা চালিয়ে রোগীর স্বজন সাইদুরকে বেধড়ক মারধর ও মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে, জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।


ঘটনাস্থল থেকে সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. লুৎফর রহমানসহ ৭ ইন্টার্ন ডাক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। আটকের ঘণ্টাখানেক পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।

এ বিষয়ে আহত কর্তব্যরত ডাক্তার চিরঞ্জিত বলেন, রোগীর মৃত্যুতে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ সঠিক নয়। আমি যথাসময়ে রোগীকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করি। কিছু বুঝে না ওঠার আগেই রোগীর স্বজনরা আমার ওপর হামলা চালিয়ে ইমারজেন্সির আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফেরদৌস হাসান বলেন, ডাক্তারের বিরুদ্ধে দায়িত্ব অবহেলা সঠিক নয়। দু'পক্ষের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিতে অনাকাংঙ্খিত এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি।

জামালপুর সদর থানার ওসি রেজাউল করিম খান বলেন, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে একজন রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো। পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ঘটনাস্থল একজন ডাক্তারসহ ৭ ইন্টার্ন ডাক্তারকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। কিন্তু কারো কোনো অভিযোগ না থাকায় আটককৃতদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি স্থানীয় নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে সমঝোতা করা হয়েছে।




এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//








সম্পাদক: শাহীন চৌধুরী
উপদেষ্টা সম্পাদক: হেলেনা বিলকিস চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক: শঙ্কর মৈত্র, নির্বাহী সম্পাদক: বরুণ ভৌমিক নয়ন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক: সৈয়দ আফজাল বাকের, ঢাকা অফিস: ২/১ হুমায়ুন রোড (কলেজ গেট) মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ ফোন: ৮৮-০২-৪৮১১৯৪৯৫, হটলাইন: ০১৭১১-৫৮৩৬২৩, ০১৭১৭-০৯৮৪২৮, চট্টগ্রাম অফিস- আবাসিক সম্পাদক: জাহিদুল করিম কচি, নাসিমন ভবন (দ্বিতীয় তলা) ১২১, নূর আহমেদ রোড, চট্টগ্রাম ফোন: ০৩১-২৫৫৭৫৪২ হটলাইন: ০১৭১১-৩০৭১৭১, E-mail : abnews13@gmail.com, Web : www.abnews24bd.com, Developed by i2soft Technology Ltd.
Close