চট্রগ্রাম অফিস: কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্র, মানি লন্ডারিংসহ সাত মামলার আসামি শামসুল আলমকে গ্রেপ্তারের পর ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালানো হয়েছে। এসময় পুলিশের উপর সশস্ত্র হামালা চালানো হয়েছে।
এতে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন খোরশেদ আলম নামে আসামির এক ভাই। যার বিরুদ্ধ আটটি মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে টেকনাফ উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিঠাপানিরছড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান।
নিহত খোরশেদ টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মিঠাপানির ছড়ার বাসিন্দা হাজী গোলাম হোসেনের ছেলে। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করেছে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় থাকা আসামি শামসুল আলমকে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন- টেকনাফ থানার এএসআই রতন মিয়া, কনস্টেবল শফিকুল হক, কনস্টেবল বলরাম দাস। আহতরা টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান বলেন, ‘সাত মামলার আসামি শামসুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের একটি দল থানায় ফিরছিলো ফেরার পথে মিঠা পানিরছড়া বাজার এলাকায় ব্যাড়িকেট দিয়ে পুলিশের উপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।’
‘এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে তারা। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। হামলাকারিরা পালিয়ে গেলে পুলিশ গ্রেপ্তার আসামিকে থানায় নিয়ে আসে।’
এসপি আরো বলেন, ‘এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামির ছোট ভাই গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় বলে জানতে পেরেছি। নিহত খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধেও মাদক ও অস্ত্রসহ নানা অভিযোগে আটটি মামলা রয়েছে।’
এবিনিউজ টুূয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//