জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে করা দুদকের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক মো. মাসুদ পারভেজের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
এদিন বেলা সাড়ে ১২টার পর মির্জা আব্বাস আদালতে হাজির হন। দুপুর ১টা ১৭ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। পরে আসামির উপস্থিতিতে আদালত এ মামলার রায় পড়া শুরু করেন। রায়ে মির্জা আব্বাসের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় বিচারক তাকে খালাস দেন। এর আগে গত ২২ আগস্ট আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য ২৯ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এর আগে গত বছরের ৩১ অক্টোবর মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। ওইদিন এ মামলার সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে মির্জা আব্বাস ও সাফাই সাক্ষীরা আদালতে উপস্থিত না হয়ে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন নামঞ্জুর করে মির্জা আব্বাসের জামিন বাতিল করে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। পরে ২ নভেম্বর অন্য মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পুলিশ হেফাজতে থাকাবস্থায় মির্জা আব্বাসকে রাজধানীর শাহজাহানপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলাম আখন্দ এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখাতে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি মির্জা আব্বাসের উপস্থিতিতে যুক্তি উপস্থাপনের জন্য ও তার গ্রেপ্তার দেখাতে করা আবেদনের বিষয়ে আদেশের জন্য ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওইদিন মির্জা আব্বাসকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
জানা যায়, জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিবিহীন ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৩২ হাজার ২৯০ টাকার সম্পদ অর্জন এবং ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ৫৭১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট দুদকের উপপরিচালক মো. শফিউল আলম রাজধানীর রমনা থানায় মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে আসামি করে মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ২৪ মে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. খায়রুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে ৪ কোটি ২৩ লাখ টাকার সম্পদ অর্জন ও ২২ লাখ টাকার সম্পত্তির তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়।