প্রকাশ: শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২:২২ পিএম আপডেট: ০৭.০৯.২০২৪ ২:২৭ পিএম |
কাজী রফিকুল হাসান,জামালপুর: গ্রামীন অর্থনীতি ও গ্রামীন মহিলাদের আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে সরকার কৃষি বিভাগের মাধ্যমে সারা দেশের ন্যায় জামালপুরে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন। প্রকল্পের মধ্যে ছিলো আদা চাষের মাধ্যমে গ্রামীন মহিলাদের উদ্যোক্তা তৈরি করা। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হওয়ায় ৭টি উপজেলার অসংখ্য গ্রামীন মহিলা আদা চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ফলে গ্রামীন অর্থনীতিতে চাঙ্গা ভাব ফিরে এসেছে।
জানা যায়, জামালপুর সদর উপজেলা কৃষি সর্মৃদ্ধ এলাকা হলেও আদা চাষের খ্যাতি রয়েছে। এ ব্যপারে সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: এমদাদুল হক এ প্রতিবেদক কে বলেন, এ উপজেলাধীন, বাঁশচড়া,শ্রীপুর, সাহাবাজপুর, রশিদপুর সহ আরো বেশ কয়েকটি এলাকার গ্রামীন মহিলারা ব্যপক ভাবে আদা চাষ করছে। আদা চাষের জন্য গ্রামীন মহিলাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যপক সহায়তা করছে। যার জন্যে গ্রামীন মহিলারা বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ফসলি জমিতে আদা চাষ করছে। সরেজমিনে এ এলাকা গুলো ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন গ্রামীন মহিলা উদ্যোক্তার সাথে এর মধ্যে বাঁশচড়া এলাকার ফাতেমা(৩০) শ্রীপুরের আমিন(২৮) জানান, কৃষি বিভাগ আদা চাষ কে জন প্রিয় করার জন্য ব্যপক সহায়তা ও প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা করছে। ফলে আদা চাষ ব্যপক আকার ধারন করেছে।
সরকারের এ প্রকল্প মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশীগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলায় ব্যপকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে। তখন সর্বত্রই আদা চাষ হচ্ছে। এমন কি রাস্তার পাশে প্লাষ্টিকের বস্তায় মাটি ভরে আদা চাষ করছে। কৃষি বিভাগের মাধ্যমে জানা গেছে মহাদান, ভাটারা, কামরাবাদ, নাংলা, আদ্রা, বাট্রাজোড় সহ আরো কয়েকটি এলাকায় গ্রামীন মহিলারা বাড়ীর আঙ্গিনা থেকে শুরু করে ফসলি জমি আর প্লাস্টিকের বস্তায় মাটি ভরে রাস্তার পাশে আদা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। মহাদান গ্রামের আকলিমা(২৭) ভাটারা গ্রামের কলসুম(২৫) জানান প্রতি প্লাস্টিকের বস্তায় ২থেকে ৩কেজি আদা পাওয়া যায়। এ ব্যপারে সকল উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা এ প্রতিবেদক কে বলেন আদার সংকট দুর করার জন্য কৃষি বিভাগ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করায় আদা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রামীন মহিলারা উদ্যোক্তা হয়ে আদা চাষের মাধ্যমে স্বাবলম্বিতা অর্জন করেছে।
এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//