নড়াইল প্রতিনিধি: নড়াইল সদর হাসপাতালে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তির ১৫ মিনিটের মধ্যেই শওকত মোল্যা (২৬) নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়েছে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ওই রোগী স্ট্রোকে মারা গেছেন। এ নিয়ে আতংকিত হওয়ার কিছু নেই।
মঙ্গলবার রাতে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
শওকত মোল্যা নড়াইল পৌর এলাকার দক্ষিণ নড়াইল গ্রামের ওমর মোল্যার ছেলে। তিনি পৌরসভার রূপগঞ্জ বাজারে সুপারির ব্যবসা করতেন।
এ দিকে শওকত মোল্যার লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরের পর মঙ্গলবার রাতেই তাকে দাফন করা হয়েছে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে। তবে বুধবার সকাল থেকে তাদের বাড়ি তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী। বাড়ির লোকজন কোথায় আছেন, তা জানাতে পারেনি স্থানীয়রা।
মৃত শওকত মোল্যার পরিবারের সদস্যরা জানান, শওকতের শরীরে এক সপ্তাহ ধরে জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট, শরীর ব্যথাসহ করোনার উপসর্গ দেখা দেয়। এরপর ঢাকায় করোনা সংক্রান্ত হটলাইনে ফোন দেয়া হলেও কোনো কাজ হয়নি। ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ সেবন করানো হলেও অবস্থার উন্নতি হয়নি।
একপর্যায়ে অবস্থার আরও অবনতি হলে মঙ্গলবার রাতে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে আনা হলে ১৫ মিনিটের মাথায় শওকত মারা যান।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তৌহিদুল হাসান তুহিন জানান, রোগীর শ্বাসকষ্ট ও বমি ছিল। জ্বর মাঝে মাঝে আসছিল, আবার চলে যাচ্ছিল। হাসপাতালে আনার পর তার মৃত্যু হয়েছে। তবে পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়; কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার আব্দুস শাকুর জানান, মৃত শওকত আলীর বিষয়ে সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে। নমুনা সংগ্রহ করা হবে কিনা তিনি (সিভিল সার্জন) বলতে পারবেন।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাক্তার আবদুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বলেন, দক্ষিণ নড়াইলে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় বাড়তি সর্তকতামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। কেউ আতঙ্কিত না হয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মৃত শওকত মোল্যার নমুনা সংগ্রহের প্রয়োজন নেই বলে সিভিল সার্জন আমাকে জানিয়েছেন।
এবিনিউজ টুয়েন্টিফোর বিডিডটকম//এফ//